বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক ছাত্র নাহিদুল ইসলামের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। লালবাগ থানা-পুলিশ বলছে, নাহিদ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান বলেন, বুয়েটের সাবেক ছাত্র নাহিদ তাঁর স্ত্রী বিথী আক্তারকে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় ভাড়া ফ্ল্যাটে থাকতেন। শনিবার বিকেলে আজিমপুর কবরস্থানের সামনে এসে তিনি বিথীকে ফোন দিয়ে বলেন, তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। বিথী দ্রুত কবরস্থানের সামনে এসে দেখেন তিনি (নাহিদ) রাস্তায় পড়ে আছেন। পথচারীদের সহায়তা নিয়ে বিথী তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে নাহিদের আত্মীয়স্বজন লালবাগ থানায় আসেন। তাঁরা মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করে নাহিদের লাশ টাঙ্গাইলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় কোনো অপমৃত্যুর মামলা করতে তাঁরা রাজি হননি। নাহিদ দীর্ঘদিন থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে। এর আগেও নাহিদ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
নাহিদের ভাই নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই চলতি বছর বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে আজিমপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটে ওঠেন। নাহিদ বুয়েটে ভর্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি।
নাহিদের মৃত্যুর বিষয়ে তাঁর স্ত্রী বিথী আক্তারের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
নাহিদের বন্ধু বুয়েটের সাবেক ছাত্র দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাহিদ খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। আমরা বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ০৪ ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। আমার জানামতে, নাহিদ ৬ষ্ঠ সেমিস্টার পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর নাহিদ লেখাপড়ায় অনিয়মিত হয়ে পড়ে। নানা কারণে নাহিদ মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন।’
নাহিদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তাঁরা দুই ভাই। তাঁদের বাবা পেশায় পল্লি চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি মারা যান।