শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। সকাল থেকে অক্সিজেন নিতে হয়নি। এ ছাড়া তাঁকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে ডায়লাইসিস হয়েছে। একটা প্লাজমা নিয়েছেন। এর আগেও দুবার তাঁকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছিল। এখন একটু ভালোর দিকে। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা করেছেন।’
সকাল থেকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অক্সিজেন লাগেনি জানিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে অক্সিজেন লাগছে না, জানি না আল্লাহ কতক্ষণ ঠিক রাখে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসে ইনফেকশন আছে। কিছুটি নিউমোনিয়ার লক্ষণ আছে। তাঁর কিডনির সমস্যা রয়েছে। এক দিন পরপর তাঁকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।