গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাঁর শ্বাসকষ্ট কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আজ শুক্রবার রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে এ কথা জানান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে আজ সকালে জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়। এতে বলা হয়, জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। রাতে মো. ফরহাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের মতো সিরিয়াস না, আবার সম্পূর্ণ ভালোও হয়নি। গতকাল রাতে স্যারের শরীরটা খারাপ হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। আবার আজ দুপুরেও বেড়ে যায়। এখন একটু কমতির দিকে। অক্সিজেন দিয়ে রাখা হচ্ছে। ভালো বোধ করলে খুলে রাখেন। কিন্তু এই ভালো বোধটা বেশিক্ষণ থাকে না।’
আজ সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসে ইনফেকশন আছে। কিছুটি নিউমোনিয়ার লক্ষণ আছে। তাঁর কিডনির সমস্যা রয়েছে। একদিন পরপর তাঁকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি, অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।