গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে। তবে শ্বাসকষ্ট আছে। এখনো তিনি কোভিড–১৯ ‘পজিটিভ’ কি না, তা জানতে কাল আবার টেস্ট করা হবে।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অধ্যাপক মামুন মুস্তাফির বরাত দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আজ রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্যারের ক্লিনিক্যাল অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি। শ্বাসকষ্ট আছে এবং অক্সিজেন লাগছে। বিশেষ ব্যবস্থায় ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তরপ্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিন পার হয়েছে। স্যারের (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না, জানতে কাল সোমবার সকালে পিসিআর টেস্ট করা হবে।’
এর আগে সকালে জানানো হয় ডা. জাফরুল্লাহ শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে গত শুক্রবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে জানানো হয়। তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়েছিল। গতকাল শনিবার সকালে তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে বলে জানানো হয়।
গতকাল রাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর কাদির আহমেদের বরাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও তিনি এখনো পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন। তাঁকে গতকাল রাতে ডায়ালাইসিস এবং প্লাজমাথেরাপি দেওয়া হয়েছে। আজ আবারও ডায়ালাইসিস দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেনথেরাপি লাগছে। আগে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস লাগলেও পরিস্থিতির সাপেক্ষে তাঁর চিকিৎসক প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক মামুন মুস্তাফি ও অধ্যাপক নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।