জাতীয় পুরস্কার রাজউকের প্লট বরাদ্দ নয়—এ বোধ আসবে কবে?

এস এম রইজ উদ্দিন, সমালোচনার মুখে তাঁর পদক বাতিল হয়েছিল
ছবি–সংগৃহীত

এস এম রইজ উদ্দিন থেকে মো. আমির হামজা। দুই বছরের ব্যবধানে এই দুজনের সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হলো। সমালোচনার মুখে রইজ উদ্দিনের পদক বাতিল হয়েছিল। এখন আমির হামজার পদকের বিষয়ে পুরস্কার নির্বাচনকারী সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ‘ভাবছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন।’

এই দুই নির্বাচনই হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা বা আমলাদের মাধ্যমে। জাতীয় পুরস্কারের নির্বাচন, যাচাই-বাছাইয়ে তাঁরাই সর্বেসর্বা। দুবারই প্রমাণিত হলো, কোনো খোঁজখবর না নিয়ে, নিজেদের মর্জিমাফিক এই নির্বাচন করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। আর তা মেনে নিয়েছে মন্ত্রীদের সমন্বয়ে তৈরি জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

দেশের সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা বলছেন, দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য যে নির্বাচনপ্রক্রিয়া আছে, তা একেবারেই ত্রুটিপূর্ণ। এই প্রক্রিয়া আমলানির্ভর শুধু নয়, আমলাসর্বস্বতায় পরিণত হয়েছে। পুরস্কার নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন দরকার। নির্বাচনের বর্তমান প্রক্রিয়া পুরোপুরি পাল্টিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি করা দরকার। তাতে সরকারি কর্মকর্তারাও থাকতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ হওয়া দরকার। একে নিয়ে হেলাফেলা বন্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন তাঁরা।

গত মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবার ১০ ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং প্রয়াত সিরাজুল হক। চিকিৎসাবিদ্যায় পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম। সাহিত্যে প্রয়াত মো. আমির হামজা এবং স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিডব্লিউএমআরআই)।

পুরস্কারজয়ী প্রত্যেকে পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, ৫ লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার।

পুরস্কার ঘোষণার পর সাহিত্যে পুরস্কারজয়ী আমির হামজাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সাহিত্যিক এবং পাঠক মহলেও একেবারে পরিচয়হীন ব্যক্তিকে নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মাত্র দুটি বইয়ের বদৌলতে আমির হামজা সাহিত্য শাখায় দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারটি পান। আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো, মো. আমির হামজার দুটি বই ‘বাঘের থাবা’ ও ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ বের হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে।

আমির হামজার মেজ ছেলে এখন খুলনা জেলা পরিষদের সচিব মো. আছাদুজ্জামান স্বীকার করেন, তিনি সরকার নির্ধারিত ফরম পূরণ করে তাঁর বাবার জন্য এই পুরস্কারের আবেদন করেন। আর তাতে সুপারিশ করেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার জন্য ১৬ জন সচিবের সমন্বয়ে গড়া ‘প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটি’র সদস্যও। তপন কান্তি প্রথম আলোকে জানান, তিনিই সুপারিশ করেছিলেন এবং আমির হামজা সম্পর্কে তেমন কিছু তিনি জানতেনও না।

আমির হামজা

জাতীয় পুরস্কারের আমলানির্ভর প্রক্রিয়া

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা ‘স্বাধীনতা পুরস্কারসংক্রান্ত নির্দেশাবলি’ অনুযায়ী একাধিক ধাপে যাচাই-বাছাই করে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। এখানে বলা আছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরবর্তী বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং এর আগে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাছে পত্র পাঠায়। নির্ধারিত যেকোনো ক্ষেত্রে পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করা যাবে। প্রস্তাবগুলো নভেম্বর মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌঁছানোর কথা।

এরপর প্রস্তাবগুলো ‘প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটি’র মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়। ১৬ সদস্যের প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যেখানে বিভিন্ন সচিব সদস্য হিসেবে থাকেন। প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে যাচাই-বাছাই করার পর প্রস্তাবগুলো ‘জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনা ও সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপন করা হয়। জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এখানে আছেন আরও ১১ জন মন্ত্রী।

কিন্তু এই যাচাই-বাছাই করতে সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দেন। বা বলা যায়, প্রক্রিয়া এমনটাই করা আছে যাতে তাঁদের ইচ্ছেই প্রাধান্য পাবে। এর আগে ২০২০ সালে এই স্বাধীনতা পুরস্কারের সাহিত্য পদকের জন্য ঘোষণা করা হয় খুলনা বিভাগীয় সাবেক উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার এস এম রইজ উদ্দিন নামের। সে বছরের ১৫ জানুয়ারি তিনি অবসরে যান। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূমি সংস্কার বোর্ডের পক্ষ থেকে রইজ উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করা হয়। ভূমি সংস্কার বোর্ড কোনোরূপ যাচাই-বাছাই না করেই ভূমি মন্ত্রণালয়ে সেই নাম পাঠিয়ে দেয়। আর মন্ত্রণালয় সেই নাম পাঠায় প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির কাছে। পরে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁদের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রস্তাব ফিরিয়ে নেন। কিন্তু এ নিয়ে যে জনবিরক্তি তৈরি হলো তার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং পুরস্কার দেওয়ার প্রক্রিয়াতেও কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি।

আর এখন আমির হামজার নাম নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর সরকারি কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীরা কোনো দায় নিচ্ছেন না।

এবার আমির হামজার নাম প্রস্তাবে সুপারিশকারী বাণিজ্যসচিব বলেছেন, ‘আমি প্রস্তাব করেছি ঠিক, কমিটি নিশ্চয়ই যাচাই-বাছাই করে তাঁকে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিবেচনা করেছে।’

কিন্তু মন্ত্রীরা যে আমলাদের প্রস্তুত করা তালিকার ওপরই নির্ভর করেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কথায় তা স্পষ্ট। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তো একা ছিলাম না। যাচাই–বাছাই করেই তো এই তালিকা দেওয়া হয়েছে।’

আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘যদি আমির হামজার নাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে, তবে এ নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

তাহলে সেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো কাজ হয়নি। যাঁরা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কী করলেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুরস্কারের প্রক্রিয়ায় আমলানির্ভরতা নয়, আমলায়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাকে আমলা সর্বস্বতাও বলা যায়। শুধু পদাধিকারবলে কিছু ব্যক্তি প্রায় সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যেসব বিষয়ে তাঁরা পুরস্কার দিচ্ছেন, তাঁরা হয়তো এসব বিষয় সম্পর্কে বিশেষ ধারণাও রাখেন না।

শান্তনু মজুমদার মনে করেন, জাতীয় পুরস্কারের বিষয়টিকে হেলাফেলা করা হয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে এর পরিবর্তনের। তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত যেসব ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হয়, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দিয়ে সরকার একটি কমিটি করে দিতে পারে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার তো বেসরকারি পর্যায়ের সহযোগিতা নেই। এ ক্ষেত্রেও তা করা উচিত।’

এখন যে কমিটি আছে, সেটি রেখেই সেই কমিটির মধ্যেই যথেষ্ট সংখ্যায় বিষয়-বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী, সুধী সমাজের মানুষজনকে যুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।

এখন যেভাবে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়, তা একজন ব্যক্তির জন্য অপমানজনক বলে মনে করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও লেখক শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, পুরো প্রক্রিয়া আমলানির্ভর। আবেদন করে পুরস্কার পাওয়া কোনো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি করতে পারেন না। এখন স্বাধীনতা পুরস্কারটার জন্য ৫ লাখ টাকাই আছে। মান বলে কিছু নেই।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কার নির্ধারণে ওই বিষয়ে বিশেষ অবদান আছে এমন ব্যক্তিদের যুক্ত করা হয় বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। এসব ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল একাধিক নাম প্রস্তাব করে। পরে এ ভেতর থেকে বেছে নেওয়া হয়।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘পুরস্কার দেওয়ার জন্য যেসব প্রশাসনিক কাজ আছে, তার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে প্রশাসনের ব্যক্তিদের। যেমন বাছাইকৃত ব্যক্তিদের চিঠি পাঠানো, অনুষ্ঠান আয়োজন অর্থাৎ বাস্তবায়নের কাজটি তাঁরা করবেন। নির্বাচনে তাঁদের রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

তাঁরা পাট বোঝেন, যোগাযোগ বোঝেন। আবার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বোঝায় দায়িত্বও যদি তাঁদের দিই, তবে এটা ঠিক হবে না।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

অধ্যাপক ইমতিয়াজের মতো বিষয়-বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জাতীয় কমিটির করার পক্ষে মত দেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান প্রক্রিয়ার পুরো পরিবর্তন দরকার এবং তা এ বছরই করা উচিত। এখন যে অবস্থায় জাতীয় পুরস্কারটি দেওয়া হয়, তা আবেদন করে প্লট পাওয়ার মতো। কেউ একজন আবেদন করেন আরেকজন তাতে সুপারিশ করেন। জাতীয় পুরস্কার কোনো আমলাতান্ত্রিক কোনো বিষয় নয়, জাতির একটি তাৎপর্যপূর্ণ কাজ।

জাতীয় পুরস্কারের যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় আমলাদের একেবারে বাদ দেওয়ার পক্ষে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাঁদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজ আছে। তাঁরা পাট বোঝেন, যোগাযোগ বোঝেন। আবার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বোঝায় দায়িত্বও যদি তাঁদের দিই, তবে এটা ঠিক হবে না। তাঁরা সুপারম্যান তো নন।’

চারটি বিষয় মাথায় রেখে স্বাধীনতা বা জাতীয় পুরস্কারের প্রক্রিয়া পুনর্গঠন জরুরি বলে মনে করেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

এক, যে পুরস্কারটি দেওয়া হবে তা প্রকৃত মেধাবী ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

দুই, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবদ্দশায় এ পুরস্কার দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

তিন, এখন আবেদন করে পুরস্কার নেওয়ার যে রীতি রাখা হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে।

চার, প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করতে হবে।

যেখানে যেসব ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া হবে, সেসব বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এই কমিটিতে সৃজনশীল বইয়ের জন্য বইমেলায় পুরস্কার পাওয়া প্রকাশনা সংস্থার প্রধানেরাও থাকতে পারেন বলে মনে করেন অধ্যাপক মনজুরুল ইসলাম।