জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ

রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাত শুরু হয় সকাল আটটায়। এতে সরকারের মন্ত্রী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাংসদ, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের অনেকে এবং সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। নামাজ শেষে দেশের অব্যাহত শান্তি ও উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাতও জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে সকাল সাতটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই মসজিদে মোট পাঁচ দফায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদ ও মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে মুসলমান সম্প্রদায় হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার ও আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে ১০ জিলহজ কোরবানি দেওয়া হলেও ঈদের পর দুই দিন, অর্থাৎ জিলহজ মাসের ১১ ও ১২ তারিখেও পশু কোরবানির ধর্মীয় বিধান রয়েছে।