ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আবির আহমেদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়, দোয়েল চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলির শব্দ শোনা যায়।
আবির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা আমি লাইভ দিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমার ওপর হামলা করেন। তাঁরা আমার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সাংবাদিক আবিরকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ করার সময় মাহফুজ কোভিদ নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট এলাকার আশপাশে জড়ো হতে থাকেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হয়।
দোয়েল চত্বর এলাকায় আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের মিছিলটি দোয়েল চত্বর এলাকায় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে।
ছাত্রদল প্রথমে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদল কিছুদূর অগ্রসর হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দেন। ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ায় ছাত্রদল পিছু হটে।
ছাত্রলীগ-ছাত্রদল উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা, হকিস্টিক ও রড দেখা যায়। তাঁদের হাতে ইটের টুকরাও দেখা যায়। এ ছাড়া ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর মাথায় হেলমেট দেখা যায়।
ছাত্রলীগের পাল্টা ধাওয়ার আগে দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। ছাত্রলীগের এক কর্মীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রদলকে পাল্টা ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।