আজিজ আহমেদের ছেলে আহত

চালককে বসিয়ে রেখে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তাঁদের এক বন্ধু

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ছেলে যে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন, সেই গাড়িটি তাঁদের একজন বন্ধু চালাচ্ছিলেন। চালক ওই গাড়িতে থাকলেও তিনি পেছনের আসনে বসে ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় আহত দুজনের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে উড়ালসড়কের পিলারে গাড়িটি ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই উমর আয়মান (২০) ও ফাহমিদ আহমেদ রাইয়ান (২০) নামে দুই তরুণের মৃত্যু হয়। তাঁরা জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ছেলে ইশরাক আহমেদের (২০) বন্ধু। আহত ইশরাক এখন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি আছেন। তাঁদের গাড়িচালক মহসিনও আহত হয়েছেন।

কাফরুল থানার উপপরিদর্শক আলমগীর জলিল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, এই তরুণেরা একটি এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল) গাড়িতে ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে মোট সাতজন ছিলেন। ঘটনাস্থলে তিনি দুটি মৃতদেহ ও গাড়িচালক মহসিনকে পান। তাঁদের প্রথমে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আলমগীর জলিল বলেন, ঘটনার পরপরই তিনি গাড়িচালক মহসিনের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় ইশরাক আহত থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। পরে তাঁর সঙ্গেও ওই দুর্ঘটনা সম্পর্কে কিছু কথা হয়েছে। তাঁরা বলেন, দুর্ঘটনার জন্য আর কেউ দায়ী নন। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, নিহত দুই তরুণ গাড়ির সামনের দুটি আসনে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ফাহমিদ আহমেদ রাইয়ান গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। তাঁর বাসা নিকুঞ্জে।

ফাহমিদের পাশেই ছিলেন উমর আয়মান। তাঁদের পেছনের সারিতে ইশরাকসহ আরও তিনজন বসে ছিলেন। একদম পেছনে ছিলেন চালক।

এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দুজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।