চাঁদা দাবির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে রহিম নামের এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি এই মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ মামলাটি তদন্ত করার জন্য ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন।
মামলার অন্য চার আসামি হলেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খায়রুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম এবং পুলিশের কথিত সোর্স দেলোয়ার হোসেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, মামলায় বাদী মো. রহিম দাবি করেন, পেশায় তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত ১২ অক্টোবর তিনি কেরানীগঞ্জ থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার সময় কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া সেতুর ওপর থেকে তাঁকে তিনজন নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বাবুবাজার সেতুর কাছে নিয়ে আসেন। তখন কোতোয়ালি থানার এসআই আনিসুল ইসলামসহ অন্যরা রহিমের কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর কাছ থেকে পুলিশ এক ভরি সোনা, ৬৩ হাজার টাকা নেয়।
মামলায় রহিম দাবি করেন, ১০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। ১৭ দিন কারাগারে থাকার পর তিনি গত ৩০ অক্টোবর জামিন পান।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে ওসি মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।