গ্যাসের সরবরাহ লাইনে কাজের কারণে আজ সোমবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আট ঘণ্টা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, র্যাডিসন হোটেল, রিজেন্সি হোটেল, সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার, আর্মি গলফ ক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ আট ঘণ্টা খিলক্ষেত ও নিকুঞ্জ এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস।
গতকাল রোববার তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে পাতালপথ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে বিদ্যমান গ্যাস সরবরাহ লাইন সরিয়ে নিতে হবে। এ জন্য জিয়া কলোনি গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১২ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত সব সিএনজি গ্রাহক, আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহক সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গ্যাস পাবেন না। গ্যাসলাইন পাশেই বসানো হবে।
তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, এই এলাকায় আগেও তিতাসের গ্যাস পাইপলাইনের কাজ হয়েছে। তখনো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এবারও এই এলাকায় সরবরাহ লাইনে কাজ হবে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে পাঁচটার মধ্যেই সেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, জরুরি কাজের কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হলে সাধারণত বড় গ্রাহক যেমন সিএনজি স্টেশন এবং কারখানার মালিকদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়। তবে বাসাবাড়ির গ্রাহকদের পত্রিকায় বা টেলিভিশনে বিজ্ঞপ্তি বা খবরের মাধ্যমে জানানো হয়। এর আগে মে মাসে তিনবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস পাইপলাইনের কাজের জন্য জরুরিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেখেননি বা ঘোষণা শোনেননি বলে জানান নিকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আফরিন আহমেদ। তিনি বলেন, তিতাসের বিজ্ঞপ্তি সাধারণ বাসিন্দারা ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়বে না। আগে থেকে এই বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঘোষণা দিয়ে জানানো দরকার বলে তিনি মনে করেন। না জানা থাকায় বাসাবাড়িতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে বলে তিনি বলেন।
এর আগেও মিরপুর এলাকায় বেশ কয়েকবার ঘোষণা দিয়ে মেট্রোরেলের কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া কারিগরি ত্রুটির কারণেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজধানীর লাখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।