কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের গুরুতর আঘাত পাওয়া ডান কানে অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে কিশোরের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। দুপুর পৌনে দুইটায় অস্ত্রোপচার শেষে কিশোরকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই আহসান কবির।
আহসান কবির বলেন, কিশোরের কানের পর্দায় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এই কান দিয়ে শুনতে হলে ভেতরে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসাতে হবে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আজ সেটি বসানো হয়েছে। এর ছয় মাস পর চিকিৎসকেরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
কারাগারে কিশোরের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল। আহসান কবির বলেন, ডায়াবেটিস কিছুটা নিয়ন্ত্রণের আসার পরে আজ চিকিৎসকেরা কানে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কিশোরের চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব-৩। দিদারুল ও মিনহাজ এর আগে জামিনে মুক্তি পান। মুশতাক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কারাগারে মারা যান। এরপর কিশোর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। ৪ মার্চ তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আহমেদ কবির কিশোর প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, ৫ মে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও এর ৬৯ ঘণ্টা আগে ২ মে কাকরাইলের বাসা থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় কিছু ব্যক্তি। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় তিনি দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখান। কান থেকে যে পুঁজ বের হচ্ছিল, সেটাও দেখান। হালকা-পাতলা গড়নের কিশোর কারাগারে ওজন হারান অনেক। কারাগারে সুচিকিৎসা পাননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১০ মার্চ কার্টুনিস্ট কিশোর নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেন। আদালতের কাছে তিনি তাঁর ওপর নির্যাতনের বিচার চেয়েছেন।