রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের নয়াগাঁওয়ের তিন নম্বর ঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
যাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ফুলবাসী দাস (৩৪) এবং তাঁর ১১ বছরের মেয়ে সুমি দাস। এ ঘটনায় ফুলবাসীর স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র দাস এবং আরেক মেয়ে ঝুমা দাসকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। ১০ বছর ধরে পরিবারটি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস করছে।
ফুলবাসীর স্বামী মোহন্দ্র চন্দ্র কখনো মাছ বিক্রি করেন, আবার কখনো দিনমজুরের কাজ করেন বলে জানান কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁরা নয়াগাঁও এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। একটি কক্ষেই পরিবারের সবাই থাকেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝুমা দাস ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর বাবা মেঝেতে বসে আছেন। মা এবং বোনের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।’ ঝুমা দাস জানিয়েছেন, রাতে তাঁর বাবা মেঝেতে ঘুমিয়ে ছিলেন।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে একটি রশি পাওয়া গেছে। দুজনের মরদেহের গলায় দাগ পাওয়া গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এখনই বলা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরিবারটিতে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন ছিল। এ নিয়ে পারিবারিক কলহও ছিল।