রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় গতকাল বুধবার একটি বাসা থেকে এক কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ওই বাসার জুনায়েদ (৫১) নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছে কলাবাগান থানা-পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মারা যাওয়া কিশোরীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার এবং কলাবাগান থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী কলাবাগানের একটি বাসায় পাঁচ বছর ধরে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল। গতকাল দুপুরে বাসার ছাদে কাপড় মেলতে যায়। এ সময় বাসার দারোয়ান জুনায়েদ তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরীটি বাথরুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি ওই বাসায় গিয়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করেন। তখন বাসা থেকে নিরাপত্তারক্ষী জুনায়েদকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ স্বীকার করেন, কিশোরীটিকে তিনি ছাদে ধর্ষণ করেন। আর এ ঘটনা ওই বাসার আরেকজন নিরাপত্তারক্ষী দেখে ফেলেন। তখন জুনায়েদ এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই নিরাপত্তারক্ষীকে অনুরোধ করেন। তবে ওই নিরাপত্তারক্ষী এই ঘটনা বাসার মালিককে জানিয়ে দেন।
পুলিশ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কিশোরীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বাসার নিরাপত্তারক্ষী জুনায়েদকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক বিপ্লব হোসেন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার ওই মামলায় জুনায়েদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কলাবাগান থানা-পুলিশ। পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য জুনায়েদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিশোরীর ফুফু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি জুনায়েদ তাঁর ভাতিজিকে ধর্ষণ করেছেন। এরপর সে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে তিনি গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন।