রাজধানীর কলাবাগানে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর স্বামী এ কে এম সামছুদ্দিন আজাদকে (৬৫) রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে সামছুদ্দিন আজাদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ৩১ মে কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের একটি ভবনে ভাড়া করা ফ্ল্যাট থেকে চিকিৎসক সাবিরার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর ভাই রেজাউল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
গত মঙ্গলবার সামছুদ্দিন আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুয়েল মিঞা বলেন, সাবিরা রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাঁর স্বামী সামছুদ্দিন আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হয়েছে।
আদালতে জমা দেওয়া পিবিআইয়ের এক প্রতিবেদন বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সামছুদ্দিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেন। তিনি সাবিরাকে বিয়ে করার আগে আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন। তবে সাবিরার কাছে একটি বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন। এ নিয়ে দুজনের বিরোধ হয়।
পিবিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বামী আজাদের সঙ্গে বিরোধের কারণে সাবিরা কলাবাগানে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় বলেছিলেন, তাঁর স্বামী বিদেশে থাকেন। তবে আজাদ সাবিরার বাসায় যাতায়াত করতেন।
সাবিরার বাসা থেকে পাওয়া কাগজপত্রে আজাদের প্রতি তাঁর ক্ষোভের আভাস পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পিবিআই। হত্যার শিকার হওয়ার আগের দিনও রাত ১০টা ২৮ মিনিটে মেসেঞ্জারে সাবিরার সঙ্গে আজাদের কথা হয়। সেদিনও তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।