পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনায় শামিম হোসেন মৃধা (৩২) নামের একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের দাবি, তিনি ক্রমিক ধর্ষক।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব তার মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ১১ জুন ওই এলাকায় পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শামিম ধর্ষণে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি একজন সিরিয়াল রেপিস্ট (ক্রমিক ধর্ষক)।
র্যাব আরও বলছে, ২০১৫ সালে ২৬ জানুয়ারি ভান্ডারিয়া উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে গভীর রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর একই উপজেলার এক ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর আরেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে। এসব ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, শামীম পেশায় একজন অটোরিকশা এবং প্রাইভেটকারচালক হিসেবে ঢাকার বাবুবাজার ও গাবতলী এলাকায় কাজ করেন। এর আড়ালে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত তিনি। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ, হত্যা চেষ্টা ও মাদকসহ অন্যান্য অপরাধের সর্বমোট ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। আগে ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলায় ৪-৫ বার কারাভোগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
শামীম কিশোর বয়স থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, বিভিন্ন এলাকায় তিনি নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধ করে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যেতেন। আত্মগোপনে থাকার সময়ও একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি এক স্থানে বেশি দিন অবস্থান করতেন না।