জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর ঢাকার উত্তরার বাসায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে রতন সিদ্দিকী জানিয়েছেন।
অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী আজ রাত ৯টা ১০ মিনিটের দিকে প্রথম আলোকে জানান, দুপুরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় রাস্তায় পার্ক করা একটি মোটরসাইকেলের জন্য গাড়ি বাসার ভেতরে নেওয়া যাচ্ছিল না।
মোটরসাইকেলটি সরাতে তাঁদের গাড়িচালক তখন হর্ন দেন। এরপর এক ব্যক্তি এসে হর্ন দেওয়া নিয়ে তর্ক জুড়ে দেন।
রতন সিদ্দিকী বলেন, ‘তর্কজুড়ে দেওয়া ব্যক্তি মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে বলেন, “এখানে ধর্মের নামে ভণ্ডামি হচ্ছে” এই কথা বলেছি। তিনি এ কথা বলে আমার বাসার উল্টো দিকে থাকা মসজিদের মুসল্লিদের ক্ষিপ্ত করে তোলেন। তাঁরা আমার স্ত্রীর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন।’
রতন সিদ্দিকী জানান, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গ্যারেজে গাড়ি ঢুকিয়ে বাসার গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তখন কয়েক শ মানুষ এসে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ, র্যাব এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মোর্শেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রতন সিদ্দিকী জুমার নামাজের সময় বাসায় ঢুকছিলেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও এক আত্মীয় ছিলেন। বাসার বিপরীত পাশে একটি মসজিদ আছে। বাসার সামনে একটি মোটরসাইকেল পার্ক করা ছিল। যিনি মোটরসাইকেল রেখেছিলেন তিনি নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় তাঁর গাড়ির চালক মোটরসাইকেল সরাতে হর্ন দেন। এ নিয়ে নামাজ শেষে দু–একজনের তর্কাতর্কি হয়। পরে কয়েকজন বাসার গেটে নক করেন। তখন একটু চিল্লাচিল্লি হয়েছে। এটা তেমন কিছু না।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রাতে পৌনে ১১টার দিকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠী ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। তাদের বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি রতন সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।