ই–অরেঞ্জের পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন।

যে পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ই-অরেঞ্জের সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান এবং আমানউল্লাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ। এঁদের মধ্যে সোনিয়া ও মাসুকুর কারাগারে রয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন আমানউল্লাহ। পলাতক রয়েছেন আসামি বীথি আক্তার ও কাউসার।

এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে বুধবার গুলশান থানায় মামলা হয়। মামলা দায়েরের পর গতকাল ই–অরেঞ্জের দুই মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলার বাদী তাহেরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই–অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরও তারা পণ্য সরবরাহ করেনি। ওই প্রতিষ্ঠানের অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এগুলো কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ করবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

মামলার বাদী তাহেরুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ই–অরেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে তাঁর পাওনা ১৭ লাখ টাকা। তাঁর মতো আরও প্রায় ১ লাখ গ্রাহক পণ্য কেনার অর্ডার দিয়েও পণ্য পাচ্ছেন না। বারবার ই–অরেঞ্জের অফিসে গিয়ে পণ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও প্রতিষ্ঠানটি সাড়া দেয়নি।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেল সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান আগে ই–অরেঞ্জের মালিক ছিলেন। গত জানুয়ারি মাস থেকে তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নন। তারপরও তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।