আনিসুল হত্যার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

আনিসুল করিম হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন
ছবি: হাসান রাজা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন হয়েছে।
মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাঁরা আনিসুল হত্যার প্রতিবাদের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন। তাঁরা বিচারে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করা হবে।

মানববন্ধনের অন্যতম আয়োজক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। হত্যার যে ভিডিও ফুটেজ আছে, তাতে লুকোচুরির জায়গা নেই। যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা ন্যক্কারজনক। অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’

মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য আশিস কুমার মজুমদার বলেন, ‘আনিসুল কেন মানসিক রোগে আক্রান্ত হলেন, তারও তদন্ত প্রয়োজন।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আইনজীবী শিহাব বলেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সরব থাকবেন।

আনিসুল করিম হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নাবিলা নুহাত বলেন, ‘আমার ভাই চৌকস মেধাবী অফিসার আনিসুল হত্যার বিচার চাই।’

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা দেশের পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভঙ্গুর বলে মন্তব্য করেন। তাঁরা অবিলম্বে অবৈধ হাসপাতাল বন্ধের আহ্বান জানান।

রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে গত সোমবার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে ভর্তি করতে যান তাঁর স্বজনেরা। সেখানেই তাঁকে মারধর করেন হাসপাতালটির কর্মীরা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি নিস্তেজ হয়ে যান। পরে তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মারধরের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে হাসপাতালটির মালিক, পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ হাসপাতালটির দুই মালিকসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১০ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।