রাজধানীর আনন্দ বাজারে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেওয়ায় বাজারের সাতটি দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা। ১০ দিন ধরে দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত ২ মার্চ ‘উপঢৌকন’ চেয়ে পলাশী বাজারে হানা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
গত মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। অমর একুশে হল শাখার সভাপতি হয়েছেন এনায়েত এইচ মনন, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইমদাদুল হাসান ওরফে সোহাগ। এনায়েত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আর ইমদাদুল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।
আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, গত ১২ মার্চ রাত আটটার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আনন্দ বাজারে যান অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা এনায়েত এইচ মনন ও ইমদাদুল হাসান। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের (ব্যবসায়ী) সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও চাঁদার জন্য হুমকি-ধমকি দেন। একপর্যায়ে সাতটি দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তাঁরা। এরপর ১৮ মার্চ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে এককালীন ১০ লাখ ও প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন এনায়েত ও ইমদাদুল। চাঁদা না পেলে তাঁরা ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। চাঁদা দিতে না পারায় দোকানগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
তবে অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা এনায়েত এইচ মনন ও ইমদাদুল হাসান চাঁদা চাওয়া ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনায়েত বলেন, 'এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ষড়যন্ত্র করে এ অভিযোগ আনা হচ্ছে।' ইমদাদুলের ভাষ্য, 'এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। বিষয়টি আমার জানা নেই।'
অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ বলেন, এ বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ পাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘দোকান মালিক কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রমাণসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ থাকল। আমাদের কাছে এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করেছেন— এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাঁরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।