গাড়ি চালানোর নির্দেশনা পেয়েই সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন যানবাহনের চালকেরা
গাড়ি চালানোর নির্দেশনা পেয়েই সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন যানবাহনের চালকেরা

আধা বেলা হরতাল: মিরপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক

সপ্তাহের অন্যান্য কর্মদিবসের মতো আজ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে স্বাভাবিকভাবেই যান চলাচল করছে। এদিন সকাল থেকেই যাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন রুটে বাস ছেড়ে যাচ্ছে।‌ এই এলাকার সড়কগুলোয় রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালনের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

মিরপুর ১২ নম্বর থেকে গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, আজিমপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করে।‌ আজ সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, এসব রুটে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চলছে।‌ বিভিন্ন মোড়ে যাত্রীদের চাপও রয়েছে।

জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, কর্মস্থল তো বন্ধ নেই। ঘরে বসে থাকবেন কেন? হাবিবা সুলতানা নামের আরেক যাত্রী বলেন, তিনি ভেবেছিলেন সড়কে গাড়ির কিছুটা হলেও সংকট থাকবে। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতোই সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।

প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসের চালক হারুন মিয়া বলেন, তাঁদের গাড়ি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তাই সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। যাত্রীর চাপও আগের মতোই রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ১১, ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, মৌচাক ও মালিবাগ রুটে দেখা গেছে প্রচুর গাড়ির চাপ। প্রতিটি মোড়ে যানজট লেগে আছে।

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই যানচলাচল করছে। এদিন সকাল থেকেই যাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন রুটে বাস ছেড়ে যাচ্ছে

আবদুল্লাহপুর থেকে সকাল সাড়ে আটটায় গুলিস্তানের উদ্দেশে রওনা করেছেন ইকবাল হোসেন। সকাল ১০টার দিকে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ সড়কে গাড়ির চাপ বেশি। দেড় ঘণ্টায় মোটরসাইকেলে করে মালিবাগ পর্যন্ত আসতে পেরেছেন তিনি।

এসব এলাকায় হরতালের সমর্থনে কাউকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। তবে সড়কে পুলিশ সদস্যদের গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে।

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল পালনের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। জোটের নেতারা বলেছেন, দুর্গতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় মানুষ হরতালে সমর্থন দেবে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো বাধা না দেওয়া হয়, তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হবে।