উচ্চ স্বরে কথা বলা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক সহপাঠীসহ কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ছাত্রের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরেছে। অভিযুক্ত ছাত্রের দাবি, আহত করার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি সহপাঠীকে আঘাত করেননি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্র হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল মোহাইমিনুল খান। তাঁর অভিযোগ, ইতিহাস বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র সজীব খন্দকার তাঁকে মারধর করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে আল মোহাইমিনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন বন্ধু মিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে উচ্চ স্বরে কথা বলা নিয়ে সজীব খন্দকারসহ ১০-১২ জনের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সজীব তাঁকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে তাঁর নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান মোহাইমিনুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সজীব খন্দকার প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আহত করার উদ্দেশ্যে তিনি মোহাইমিনুলকে আঘাত করেননি। তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় নিয়ে মোহাইমিনুলের সঙ্গে আমার কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এটি দেখে আশপাশ থেকে অনেকে এগিয়ে আসেন৷ কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির মধ্যে কলার চেপে ধরার একপর্যায়ে হয়তো তিনি পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন।’