অভিনেত্রী শিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্বামী: পুলিশ

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তাঁর স্বামীকে বন্ধু (স্বামীর) ফরহাদ সহায়তা করেছেন।

আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার। পুলিশ বলছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল।

স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীমের সঙ্গে রাইমা ইসলাম শিমু

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার

আজ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে যেকোনো সময় শিমুকে হত্যা করা হয়। যে গাড়ি ব্যবহার করে শিমুর লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে, সে গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল।