পুলিশের উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, যেসব এলাকায় নিম্ন আয়ের ও ভাসমান মানুষ বেশি, সেখানে অপরাধ বেশি।
রাজধানীতে ২০২১ সালে বিভিন্ন অপরাধে মামলার সংখ্যা ২১ শতাংশ বেড়েছে, যা অপরাধ বাড়ার প্রবণতাকেই বোঝায়। তবে খুন, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতা কমেছে। বেড়েছে মাদক ও চোরাচালানের মামলা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মামলার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ চিত্র দেখা যায়। এতে আরও উঠে আসে, ২০২১ সালে খুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে ডিএমপির ওয়ারী ও মিরপুর বিভাগে। সার্বিকভাবে অপরাধের ঘটনা বেশি ঘটেছে তেজগাঁওয়ে।
২০২১ সাল ও আগের কয়েক বছরের অপরাধচিত্র বিশ্লেষণ করে ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীর যেসব এলাকায় নিম্ন আয় ও ভাসমান মানুষের বসবাস বেশি, সেখানে অপরাধের ঘটনা বেশি ঘটে। এর বহুমুখী কারণ রয়েছে। তবে বড় কারণ দারিদ্র্য ও অপরাধ প্রবণতা।
এদিকে ২০২১ সালে চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা কমার কারণ হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তারা মানুষের কাজের সুযোগ বাড়াকে সামনে আনছেন। ডিএমপির মিরপুর বিভাগের কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ২০২০ সালে করোনার কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এতে অপরাধ বেড়ে গিয়েছিল। এখন ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। মানুষ কাজ পাচ্ছে। এতে অপরাধ কমেছে।
রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ৫০টি থানাকে ৮টি অপরাধ বিভাগে ভাগ করে কাজ করে ডিএমপি। বিভাগগুলো হলো রমনা, লালবাগ, ওয়ারী, মতিঝিল, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা। তাই ওয়ারীর খুনের যে হিসাব, তা শুধু ওয়ারী থানা নয়, বরং ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ছয়টি থানার হিসাব। ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের অধীন থানাগুলো হলো ওয়ারী, ডেমরা, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া ও কদমতলী।
ডিএমপির এই আট বিভাগে ২০২১ সালে অপরাধের মামলা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৬১টি। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মাদক নিয়ে। এরপর রয়েছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা। ডিএমপি এলাকায় গত বছর ১৬৬টি খুনের ঘটনা ঘটে, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৩টি কম। পুলিশ বলছে, গত বছর রাজধানীতে কোনো রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটেনি। ২০২১ সালে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ১ হাজার ৬৮২টি মামলা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৯০টি কম।
বিভিন্ন অপরাধে ২০২১ সালে সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ৫০ হাজারের মতো ব্যক্তিকে। আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৪২ হাজার ৩৬৯। ওই বছর ডিএমপিতে ২২ হাজার ৬৭৩টি মামলা হয়। ডিএমপির হিসাব বলছে, রাজধানীতে অপরাধ দমন করতে গিয়ে ২০২১ সালে ৬৯ পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে।
ঢাকা মহানগরে গত বছর যে ১৬৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৩৫টি হয়েছে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগে, ২৬টি মিরপুরে, ২৪টি গুলশানে, ১৯টি মতিঝিলে, ১৭টি করে উত্তরা ও তেজগাঁওয়ে, লালবাগে ১৫টি এবং রমনায় ১৩টি।
শুধু ২০২১ সাল নয়, আগের বছরগুলোর অপরাধপ্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওয়ারী বিভাগ, মিরপুর ও গুলশানে খুনের ঘটনা বেশি ঘটে। যেমন ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছিল মিরপুর ও গুলশান বিভাগে। ওই বছর এ দুই বিভাগে ৩৩টি করে খুনের ঘটনা ঘটে। আর ওয়ারীতে সংখ্যাটি ছিল ৩২।
ডিএমপির ওয়ারীর উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন কদমতলী ও শ্যামপুর এলাকায় প্রচুর ভাসমান মানুষ বসবাস করে। ছিন্নমূল এসব মানুষ নানা অপরাধের শিকার হয়। আবার নিজেরাও অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বলছে, ডিএমপির মিরপুর বিভাগে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বসবাস করে। সেখানেও নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস বেশি। পল্লবী থানা এলাকায় বিহারি ক্যাম্প রয়েছে। মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় মাদকের আখড়া রয়েছে। সব মিলিয়ে সেখানে খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ বেশি।
ডিএমপির গুলশান বিভাগে পড়েছে বাড্ডা ও ভাটারা থানা। বনানীর সাততলা বস্তি ও কড়াইল বস্তিও এর আওতাধীন। পুলিশ বলছে, বাড্ডা ও ভাটারায় জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুনোখুনির ঘটনা বেশি ঘটে। বাড্ডায় কয়েকটি ভাড়াটে খুনির দল রয়েছে। বিদেশে থেকে কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী এসব দল পরিচালনা করে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করিয়ে থাকে।
‘প্রায় শতভাগ ঘটনায় আমরা মামলা নিয়ে থাকি। হয়তো সে কারণে মামলার সংখ্যা বেশি’মৃত্যুঞ্জয় দে সজল, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার
ডিএমপির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অপরাধের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে তেজগাঁও বিভাগের আওতাধীন এলাকায়। এ এলাকায় ধর্ষণ, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, সিঁধেল চুরি, গাড়ি চুরি ও মাদক উদ্ধারের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অধীন থানা ছয়টি—তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল, হাতিরঝিল, শেরেবাংলা নগর, আদাবর ও মোহাম্মদপুর। এ বিভাগের অধীনে মোহাম্মদপুরের বছিলা ও বেড়িবাঁধ, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় বস্তি রয়েছে। সেখানে ভাসমান ও নিম্ন আয়ের লোকজন বেশি বসবাস করে।
২০২১ সালে তেজগাঁও বিভাগের থানা এলাকায় ৬৩টি গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটেছে, যা ডিএমপির সব বিভাগের তুলনায় সর্বোচ্চ। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৮৩১টি মামলা হয়েছে এ বিভাগে। সর্বাধিক ৭টি ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে এ বিভাগে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও সবচেয়ে বেশি ঘটেছে তেজগাঁও বিভাগে, সংখ্যা ২৭।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় শতভাগ ঘটনায় আমরা মামলা
নিয়ে থাকি। হয়তো সে কারণে মামলার সংখ্যা বেশি।’ তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ ও বছিলা এলাকায় প্রচুর ভাসমান লোকজন বসবাস করে। এ কারণেই চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ সেখানে বেশি।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগ সাতটি থানা নিয়ে গঠিত—পল্টন, মতিঝিল, শাজাহানপুর, সবুজবাগ, রামপুরা, মুগদা ও খিলগাঁও। এ সাত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং সিঁধেল চুরির মতো অপরাধের ঘটনা বেশি ঘটেছে।
প্রায় শতভাগ ঘটনায় আমরা মামলা নিয়ে থাকি। হয়তো সে কারণে মামলার সংখ্যা বেশি।’ তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ ও বছিলা এলাকায় প্রচুর ভাসমান লোকজন বসবাস করে। এ কারণেই চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ সেখানে বেশিডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল
পুলিশ বলছে, মতিঝিল বিভাগের পল্টন ও মতিঝিল থানা এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। সেখানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে, যাকে পুলিশ সিঁধেল চুরির আওতায় ফেলে। এ বিভাগের সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা ও রামপুরার বেশির ভাগ এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি বাস করে। দরিদ্র পরিবারের নারী ও শিশুরা বাইরে গিয়ে নানা কাজ করে সংসার চালায়। তারা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। এসব এলাকায় পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাও বেশি দেখা যাচ্ছে।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগে গত বছর শিশু নির্যাতনের ঘটনায় সর্বোচ্চ ৮২টি মামলা হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের মধ্যে পড়েছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ বিভাগে চোরাচালানের মামলা বেশি। পুলিশ বলছে, দেশি-বিদেশি চোরাকারবারিরা বিমানবন্দরকে চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করেন। যেমন গত এপ্রিলে ৭০ লাখ টাকার সোনাসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মচারী ঝন্টু চন্দ্র বর্মণকে আটক করে ঢাকা কাস্টমস। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। এমন মামলা থানাটিতে প্রতিনিয়তই হচ্ছে।
ডিএমপির তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে চোরাচালানের ঘটনা অনেক বেড়েছে। চোরাচালানের ঘটনায় গত বছর ডিএমপিতে ১৬৯টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ১৩০টিই হয়েছে ডিএমপির উত্তরা বিভাগে। এর আবার ৯৮ শতাংশই হয়েছে বিমানবন্দর থানায়।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের একটি জুতার কারখানায় আগুনের ঘটনায় পুড়ে মারা যান পাঁচজন শ্রমিক। ওই কারখানায় দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ছিল।
পুলিশ বলছে, পুরান ঢাকার লালবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় রাসায়নিক অনেক গুদাম রয়েছে। সেখানে প্রায়ই আগুনের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা দেখিয়ে মামলা করা হয়। তবে বিস্ফোরক আইনেও মামলা হয়। এ কারণে ডিএমপির লালবাগ বিভাগে বিস্ফোরকের মামলা বেশি।
ডিএমপির হিসাবে ২০২১ সালে ঢাকা মহানগরে বিস্ফোরক আইনে ৭৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি মামলাই হয়েছে লালবাগ বিভাগে।
বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় ‘রেসিং’ অনেকাংশে কমেছে। রাতে রাস্তা ফাঁকা পেলে অনেকেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতেন। এতে দুর্ঘটনা ঘটতআবুল হাসান, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় গত ২ ডিসেম্বর গুরুতর আহত হন পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের চেয়ারম্যানবাড়ী ‘ইউটার্নে’ বেপরোয়া গতির ব্যক্তিগত একটি গাড়ি মনোরঞ্জন হাজংয়ের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
ডিএমপির হিসাবে, এটিসহ ২০২১ সালে গুলশান বিভাগে ৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা ঢাকার মধ্যে সর্বোচ্চ। পুলিশ বলছে, গুলশানে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হওয়ার একটা বড় কারণ গভীর রাতে দামি গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতা। ‘ড্রাগ রেস’ নামের এ প্রতিযোগিতায় নেমে গুলশান, বনানী ও বিমানবন্দর সড়কে বিকট শব্দ করে ছুটে চলে এসব গাড়ি।
রাত হলেই গুলশান এলাকায় গাড়ি নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামা ২৫টি গাড়ি শনাক্ত করেছে গুলশান থানা-পুলিশ। এসব গাড়ির মালিকদের সতর্কও করা হয়েছে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কয়েকটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় ‘রেসিং’ অনেকাংশে কমেছে। রাতে রাস্তা ফাঁকা পেলে অনেকেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতেন। এতে দুর্ঘটনা ঘটত।
পুলিশ অপরাধের ধরনভেদ ১৪টি ভাগ করে। এর মধ্যে একটি গরু চুরি। প্রতিবছর সারা দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গরু চুরির ঘটনা ঘটে। তবে ডিএমপির পরিসংখ্যানে দেখা গেল, রাজধানীতেও গরু চোর রয়েছে।
ডিএমপির তথ্য বলছে, গত বছর রাজধানীতে চারটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগের সংখ্যাটি ছিল ছয়। ২০২১ সালে দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে মিরপুরে। একটি করে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে গুলশান ও তেজগাঁও বিভাগে। তবে পুলিশ বলছে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
নিম্ন আয় ও ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের এলাকায় কেন অপরাধ বেশি, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক খানের কাছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অঞ্চলভেদে মানুষের জীবনচিত্র ও তাঁদের কর্মসংস্থানের উৎস, পরস্পরের সঙ্গে পরস্পরের সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও মানবিকতা—মূলত এসব বিষয়ের কারণে অপরাধের তারতম্য হয়। তিনি বলেন, ‘যেসব এলাকায় ভাসমান মানুষ বেশি বসবাস করে, সেখানে সম্পর্ককেন্দ্রিক অপরাধ বেশি ঘটে। সম্পর্ককেন্দ্রিক অপরাধ বলতে আমরা বুঝি একজনের সঙ্গে আরেকজনের মনোমালিন্য, ঝগড়া, মারামারি, পারিবারিক কলহ, বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে অপরাধ ও মাদক।’
বিশ্লেষকদের অনেকে অপরাধের কারণ হিসেবে বিচারহীনতা, আর্থসামাজিক বৈষম্য, কর্মহীনতা, পুলিশের ব্যর্থতাসহ নানা বিষয় সামনে আনেন। তাঁরা মনে করেন, অপরাধীরা বারবার ধরা পড়ে কারাগারে যায়। মামলা, তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ার দুর্বলতায় তারা বেরিয়ে আবার অপরাধে জড়ায়। আর ঢাকায় সহজে অপরাধে জড়ানোর সুযোগ বেশি।
মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, কোন এলাকায় কী ধরনের অপরাধ বেশি ঘটছে, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেভাবে সব প্রস্তুতি রাখতে হবে।