অধ্যাপক জিয়ার পক্ষে শিক্ষক সমিতির বিজ্ঞপ্তি, সহমত নন সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমানের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক  মো. নিজামুল হক ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত। তবে বিষয়টি ‘স্পর্শকাতর’ হওয়ায় বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেড় বছর আগে ডিবিসি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত একটি টক শো থেকে অধ্যাপক জিয়া রহমানের বক্তব্য এডিট করে খণ্ডিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে একটি মহল রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে এবং বিকৃত রুচির পরিচয় দিয়ে অনলাইনে নানা ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

এসব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয় যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকের একাডেমিক বিশ্লেষণের রাজনৈতিক অপব্যবহার কাম্য হতে পারে না৷ সমিতি এ ধরনের হীন কার্যক্রমে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও তীব্র নিন্দা জানায়। শিক্ষকসমাজের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়৷

এই বিবৃতির বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান৷ তিনি আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যটি শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত৷

তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এর সঙ্গে সহমত নই৷ অধ্যাপক জিয়া আমাদের অত্যন্ত আপনজন৷ কিন্তু ধর্মীয় তথা স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় আমি বিজ্ঞপ্তির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করিনি৷’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর ছাড়া অন্যরা আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের প্যানেল থেকে নির্বাচিত৷ সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের প্যানেল থেকে অধ্যাপক লুৎফর সহসভাপতি নির্বাচিত হন৷ পরে সমিতির সভাপতি ও নীল দলের নেতা অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব পেলে অধ্যাপক লুৎফর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন৷

এদিকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে গত ২৫ অক্টোবর জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন মাসিক ‘আল বাইয়্যিনাত’ ও দৈনিক ‘আল ইহসান’–এর সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব আলম এবং আইনজীবী ইমরুল হাসান৷ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২২ অক্টোবর একটি টেলিভিশনের টক শোতে অধ্যাপক জিয়া রহমান ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করেন৷ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য’ প্রচারের অভিযোগ আনা হয়৷