হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

মধ্যম ও ভারী যান চালনা

শুধু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, জানতে চান হাইকোর্ট

শুধু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ভারী ও মধ্যম মোটরযান চালনার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তি–সংক্রান্ত চার বছর আগের সংশোধিত এক প্রজ্ঞাপন অনুসারে কতগুলো লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৮ জুন সংশোধিত ওই প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এতে বলা হয়, গণপরিবহনের চালক হিসেবে নিয়োজিত ব্যক্তির হালকা মোটরযান চালনার বৈধ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে ও সেটির মেয়াদ ন্যূনতম এক বছর অতিক্রান্ত হলে ওই ব্যক্তি তাঁর লাইসেন্সে মধ্যম শ্রেণির মোটরযান সংযোজনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একইভাবে মধ্যম শ্রেণির মোটরযান চালনার বৈধ লাইসেন্সধারী ভারী শ্রেণির মোটরযান সংযোজনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ে সর্বনিম্ন এক বছর মেয়াদি হালকা মোটরযান চালনার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি মধ্যম শ্রেণির মোটরযান চালাতে পারবেন। আর সর্বনিম্ন এক বছর মেয়াদি মধ্যম মোটারযান চালনার পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি ভারী শ্রেণির মোটরযান চালাতে পারবেন। এই সময়সীমার পর এর কার্যকারিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল সোমবার রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজুর নাহিদ। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

৬০ দিনের মধ্যে আদালত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী অনীক আর হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়া শুধু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হালকা থেকে মধ্যম এবং মধ্যম থেকে ভারী মোটরযান চালনার লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ রাখা হয় সংশোধিত ওই প্রজ্ঞাপনে। এক বছর অভিজ্ঞতা থাকলে হালকা থেকে মধ্যমে এবং মধ্যম থেকে ভারী মোটরযানের লাইসেন্স পাবেন। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনটি সড়ক পরিবহন আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের পরিপন্থী। শুনানি নিয়ে আদালত রুল দিয়ে ওই প্রজ্ঞাপনের অনুসারে কতজনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেটির তালিকা আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’