জাতীয় জরিপের তথ্য

দেশে দুটি শিশুর একটি ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতিতে

শিশু
প্রতীকী ছবি

দেশের শিশু ও নারীদের মধ্যে অনুপুষ্টিকণার ঘাটতি অনেক। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের দুজনের একজন ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতিতে ভুগছে। প্রতি ১৩ জনের মধ্যে একজন নারীর এ ঘাটতি রয়েছে।

দ্বিতীয় জাতীয় অনুপুষ্টিকণা জরিপে (২০১৯-২০২০) এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচি, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গেইন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির অসংক্রামক রোগবিষয়ক শাখার বিজ্ঞানী ও জাতীয় জরিপের প্রধান গবেষক আলিয়া নাহিদ।

শিশু ও নারীদের কত শতাংশের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ১২, জিংক, আয়রন ও আয়োডিনের ঘাটতি আছে, তা জরিপের আলোকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন আলিয়া নাহিদ।

ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ১২, জিংক, আয়রন ও আয়োডিন—এগুলোকে বলা হয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বা অনুপুষ্টিকণা।

অনুপুষ্টিকণা মানুষের খুব কম পরিমাণে প্রয়োজন হয়। কিন্তু এর সামান্য ঘাটতিতে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

এর আগে দেশে প্রথম অনুপুষ্টিকণা জরিপ হয়েছিল ২০১১-১২ সালে। বর্তমান জরিপে দেখা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে।

তবে আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিবিদ বলেন, দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

আলিয়া নাহিদ বলেন, তিনটি শিশুর মধ্যে একটি এবং সাতজন নারীর মধ্যে একজন জিংকের ঘাটতিতে আছেন। অন্যদিকে ১২টি শিশুর একজন ও ১২ জন নারীর একজনের আয়রনের ঘাটতি আছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি এস কে রায় প্রমুখ।