চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ছয় ভাইয়ের পরিবারের বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ছয় ভাইয়ের পরিবারের বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে

সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারেননি ১৫ বছর, এবার সম্পূর্ণ বসতঘরই গুঁড়িয়ে দিল

চট্টগ্রামের রাউজানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের সহযোগী সাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে প্রায় ১৫ বছর বাড়িছাড়া ছিলেন শিক্ষক এ কে এম মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর পাঁচ ভাইয়ের পরিবার। সরকার পতনের পর তাঁরা ছয় পরিবার বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে এত দিন পর বাড়িতে ফিরেও মেলেনি স্বস্তি। এবার সন্ত্রাসীরা হামলা করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাঁদের বসতঘর। হামলার পাশাপাশি লুটপাটও করেছে তারা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাউজান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছয় পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক এ কে এম মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ১ নভেম্বর দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাড়িতে এসে বসতভিটা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করছিলেন তাঁরা। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে সাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০–১২ জন দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁর বড় ভাই সাইফুদ্দিন চৌধুরী ও আনোয়ারুল আজীম চৌধুরীসহ বাড়ির লোকজনকে মারধর করেন। একই সঙ্গে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তাঁরা। এর দুই দিন পর তাঁর আরেক ভাই জয়নাল আবেদীন দুজন শ্রমিক নিয়ে বাড়িঘর পরিষ্কার করতে গেলে একই কায়দায় সন্ত্রাসীরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তারা জয়নালের ব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর রাউজান থানায় একটি মামলা করেন তাঁর ভাই। এ মামলায় ইতিমধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার পর ৮ নভেম্বর আবারও ২০–৩০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাঁদের থাকার ঘর, রান্নাঘর ও দুটি কাছারি ভেঙে দেয়। ঘরে থাকা মূল্যেবান জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে তারা। এতে প্রায় ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীর সহযোগী সাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীসহ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাড়িতে পাওয়া যায়নি সাহাতাব চৌধুরীকে। মুঠোফোনেও তাঁর সংযোগ মেলেনি। এ জন্য অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।