চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথে (বঙ্গবন্ধু টানেল) বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে সমালোচনা চলছে। গত রোববার মধ্যরাতে একদল তরুণ ১০ থেকে ১৫টি গাড়ি নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন।
গত শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সকাল ছয়টায় সর্বসাধারণের গাড়ি চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হয়। চালুর প্রথম দিনেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ঘটনা ঘটল। এ ঘটনার পরে টানেলে নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো হয়।
টানেলে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে।
নিয়ম মেনে গাড়ি চলাচল, টানেলের ভেতরে ছবি না তোলা ও ওভারটেক না করাসহ ১৪টি নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
নিয়ম ভঙ্গ করে টানেলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছে অনেকেই। তাঁরা এ ধরনের ঘটনা বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
টানেলের ভেতরে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়টি টানেল কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। টানেলের উপপ্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুরুতে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু গতির সীমা অনেকেই মানছেন না। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। টানেলের ভেতরে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
টানেলের ভেতরে ও টানেল সংযোগ সড়কে বেপরোয়া যানবাহন চলাচল ঠেকাতে টহল দল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান টানেল প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা।