মোহাম্মদ আতিক
মোহাম্মদ আতিক

টেকনাফে অপহরণের পাঁচ দিন পর ছাড়া পেলেন অপহৃত যুবক

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অপহরণের পাঁচ দিন পর ছাড়া পেয়েছেন মোহাম্মদ আতিক (২২) নামের এক যুবক। স্বজনদের দাবি অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে আতিককে ছেড়েছে। তবে মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি পুলিশ জানে না বলে জানিয়েছে।

অপহৃত যুবক মোহাম্মদ আতিক (২২) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমোরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও লবণ ব্যবসায়ী আব্দু সালামের ছেলে। তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় আতিককে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

আতিকের স্বজনের জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাঁকে মারধরও করেছে অপহরণকারীরা। তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, অপহৃত যুবক মোহাম্মদ আতিকের বাবা আব্দু সালাম একজন চিংড়ি ব্যবসায়ী ছিলেন। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাঁর ছেলেকে অপহরণ করেছে। বিগত কয়েক মাস ধরে পাহাড়ি এলাকার লোকজনকে ধরে নিয়ে তারা এভাবে মুক্তিপণ আদায় করছে।

আতিকের স্বজনদের দাবি, গত বুধবার রাতে আতিককে অপহরণের পর দুর্বৃত্তরা স্বজনদের কাছে মুঠোফোনে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। একপর্যায়ে মুক্তিপণ আদায়ের পর গতকাল রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী আতিকের বাবা আব্দু সালাম বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরসংলগ্ন এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে আতিককে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি মুঠোফোনে কল দিয়ে ৫০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিশসহ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে জানালে আতিককে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

আব্দু সালাম বলেন, গতকাল দুপুরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যার দুর্বৃত্তরা আতিককে ছেড়ে দেয়। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানো হয়নি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ অপহৃত যুবককে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়। গতকাল রাতে পুলিশের অভিযানের মুখে চাপে পড়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছেড়ে দেয়। মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়টি জানেন না বলে তিনি দাবি করেন।