অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় চার বছরের দণ্ডিত ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে হারুনের মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী রবিউল আলম বুদু।
ওই মামলায় চার বছর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জামিন চেয়ে আবেদন করেন এম হারুন-অর-রশীদ। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রতিবেদন দাখিলের পর ৩০ আগস্ট হাইকোর্ট তাঁকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী দীপঙ্কর কুমার ঘোষ। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে হারুন-অর-রশীদের আইনজীবী রবিউল আলম বুদু প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট হারুন-অর-রশীদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন করে। শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। ফলে হারুন-অর-রশীদের জামিন বহাল রইল। কারা তত্ত্বাবধানে হারুন-অর-রশীদ এখন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন। জামিন বহাল থাকায় এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা ওই মামলায় গত ১২ মে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।
রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও কোম্পানির প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। চার বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হারুন হাইকোর্টে আপিল করার পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হারুনের করা আপিল গত ৯ জুন হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তবে জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন হারুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জুন হাইকোর্ট হারুন-অর-রশীদ চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়ে। অন্যদিকে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন হারুন।