গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল, এ রকম এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটা। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন। গোপন কক্ষে অন্যরা ঢুকছে, ভোট সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। তবে কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল, তা আমরা এখনো বলতে পারব না।’
আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে সিইসি আরও বলেছেন, নির্বাচনে তিনি ব্যাপক অনিয়ম দেখেছেন। যেখানে অনিয়ম বেশি, সেখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে তিনটি। এরপর ক্রমাগতভাবে মোট ৪৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
পুরো নির্বাচন বন্ধের আশঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না, তাহলে একটি কেন্দ্র বা সব কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ করার দায়িত্ব কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। সেই বিধানের আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনাদের জানাব।’
নির্বাচনে যাঁরা অনিয়ম করছেন, সে জন্য কী অ্যাকশন নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, তাঁরা প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
ইভিএম নিয়ে অভিযোগ এসেছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘ইভিএমের কোনো দোষত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। মানবিক আচরণের ত্রুটির কারণে এমনটা হচ্ছে।’ একই ধরনের প্রতীক দেওয়া গেঞ্জি পরে অনেককে ভোট দিতে দেখেছেন বলে জানান সিইসি। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এসব কাজ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তাঁরাই ভোটকেন্দ্রের ডাকাত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘এরাই ডাকাত। এরাই দুর্বৃত্ত। যাঁরা আইন মানেন না, তাঁদেরই আমরা ডাকাত বলতে পারি, দুর্বৃত্ত বলতে পারি। আমাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদসহ উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইভিএমের মাধ্যমে ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনের দিন ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে কয়েক প্লাটুন র্যাব, আনসার সদস্য ছাড়াও ১ হাজার ২৮৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।