দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা। আর যোগসাজশ ও গোষ্ঠীতন্ত্রের মাধ্যমে বড় দুর্নীতি হয়। রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ যোগসাজশ হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২২ (বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন)’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সুশাসন বিষয়ক অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) তিন দিনব্যাপী এই সংলাপের আয়োজন করেছে। গতকাল সোমবার শুরু হওয়া এই সংলাপে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্টজনেরা যোগ দিচ্ছেন। কাল বুধবার সংলাপ শেষ হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতি, বিশেষ করে বড় দুর্নীতি হয়। এই যোগসাজশ হয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের একটি অংশের মধ্যে। আরেকটি হলো গোষ্ঠীতন্ত্র। এগুলো হয় জবাবদিহির ঘাটতির কারণে। এ ছাড়া দুর্নীতির ব্যাপকতা অব্যাহত থাকার পেছনে গণতন্ত্রের ঘাটতিও দায়ী।
সুজন সম্পাদক আরও বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি ব্যবসায়ীকরণ হয়েছে এবং ব্যবসাকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। এতে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ জন্য তিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে সুশীল সমাজকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।
আলোচনায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) আ ম স আ আমিন রাজনীতির সমস্যাকেই বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন।
দুর্নীতি শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানেই নয়, বেসরকারি খাতেও হয় বলে উল্লেখ করেন বসনিয়া-হার্জেগোভিনার ব্যবসায় উন্নয়ন ও সরকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফারিস হাডরোভিচ।
প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস-বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদের সঞ্চালনায় এই অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ কার্যালয়ের সুশাসনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ শীলা তাসনীম হক, ফিলিস্তিনের উন্নয়নবিষয়ক বিশেষজ্ঞ উসামা খলিলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ-আল-মামুন।