কক্সবাজারে মাঠপর্যায়ে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে, যা পুরো দেশের চাহিদার প্রায় কাছাকাছি। তবুও চট্টগ্রাম নগরের মাঝিরঘাটের সল্ট মিল এলাকার লবণ কারখানাগুলোর গেটে লবণের দাম বেশি। জানা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় বর্তমানে প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় লবণের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লবণের দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মাঝিরঘাট এলাকায় লবণ মিলে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযান শেষে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
এ সময় ৩৭টি লবণ মিল পরিদর্শন করা হয়। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মদ।
মিলমালিকেরা জানান, কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের অন্যতম প্রধান কাঁচামাল লবণ। তাই কোরবানির ঈদে লবণের চাহিদা বাড়ে। চাহিদা অনুপাতে আরও বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত লবণ পরিবহন করা প্রয়োজন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর লবণের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী লবণ সরবরাহ হয়নি বাজারে। এ মৌসুমে এখনো সাড়ে ছয় লাখ টন অপরিশোধিত লবণ কক্সবাজারে পড়ে রয়েছে। এসব অপরিশোধিত লবণ নিয়মিতভাবে পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে জানানো হয়েছে।
এ সময় লবণ উৎপাদন, মজুত নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাতকরণ মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত সরকারি সংস্থা বিসিক চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, চাহিদা অনুপাতে লবণের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কক্সবাজারে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।