নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের মহেশপুর ও কাঁচিহাটা বাজারে স্থানীয় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষের সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। আজ বুধবার সংগঠনের নোয়াখালী উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে ওই দাবি করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমানউল্যাহপুর এলাকায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও গুলির ঘটনাটি ছাত্রদল ও শিবিরের বিরোধের জেরে ঘটেছে বলে তাঁরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
ওসি লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে প্রথম জামায়াতের সমর্থক মো. সোহেলকে (৪০) আটকে রাখার খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। তখন সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছিলেন ওই এলাকায়। কিন্তু পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তাঁকে মুঠোফোনে জানানো হয়, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে বিকেলে মীমাংসা করা হবে। তখন পুলিশ থানায় ফিরে আসে। এরপর বিকেলে ও সন্ধ্যায় পুনরায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদলের নেতা ইব্রাহিম মাসুম (২৭) গুলিবিদ্ধ হন। তখন পুনরায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি লিটন দেওয়ান জানান, ঘটনার বিষয়ে আজ দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নের সংঘর্ষে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখা। আজ ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মশিউর রহমান ও সেক্রেটারি দাউদ ইসলাম এ বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নে সংঘটিত সংঘর্ষে বিবদমান কোনো পক্ষের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কোনো পর্যায়ের সম্পৃক্ততা নেই। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রশিবিরকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তদন্তের মাধ্যমে বিবাদমান পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধান করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’