সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ বিক্ষোভ হয়। হাইকোর্টের দেওয়া কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের এ রায় বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
‘সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটাপদ্ধতি পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বহাল রাখার দাবিতে’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাব্যবস্থায় কবর দে’, ‘কোটাব্যবস্থা মানি না, মানব না’, ‘কোটাব্যবস্থা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে থাকা প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘বিসিএসের মতো চাকরিতে যদি ৫৬ শতাংশ কোটার জন্য নির্ধারণ করা থাকে, তাহলে মেধাবীরা যাবে কোথায়? সরকারি চাকরিতে এসব বৈষম্যের কারণে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছেন। দিন দিন দেশ মেধাশূন্য হচ্ছে।’
২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। সে বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় আন্দোলন হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা পুরোপুরি বাতিল করে সরকার। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে। ওই পরিপত্রে নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে এবং নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও দশম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করার কথা জানানো হয়।

গত বুধবার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ায় আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।