কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক বইমেলায় গতকাল শনিবার উদ্যাপিত হলো বাংলাদেশ দিবস। এ উপলক্ষে বইমেলা চত্বরের এসবিআই মিলনায়তনে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছিল ‘সংযোগের সেতুবন্ধন: সাহিত্য সংস্কৃতি ও শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ। প্রধান আলোচক ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক চিন্ময় গুহ, কবি সুবোধ সরকার, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। আরও ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
সচিব খলিল আহমদ বলেছেন, বই থাকবেই। আজকের এই ডিজিটাল যুগে টেলিভিশনের বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল। তবে বইয়ের বিকল্প কিন্তু আজও বই-ই। তাই বই থাকবে। আমাদের বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ার কারিগর হিসেবে, সংযোগ সেতু হিসেবে।
অনুষ্ঠানে কবি নুরুল হুদা বলেন, আজকের ডিজিটাল যুগে বই প্রধান সেতুবন্ধনের কারিগর হয়ে দাঁড়াবে। বই হারিয়ে যাবে না, বই থাকবে।
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘যত দিন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থাকবেন, তত দিন আমাদের বাংলাভাষা থাকবে। বাংলা ভাষা নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বই বাঁচিয়ে রাখবে বাংলা ভাষাকে।’