বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) মধ্যবর্তী বৈঠক আগামীকাল রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার বিষয়টি স্থান পাবে।
পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈঠকে বাংলাদেশ বাণিজ্যসুবিধা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থার (ডিএফসি) বিশেষায়িত তহবিল থেকে সহায়তা চাইবে। আর শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনের মতো বিষয়ে জোর দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছে। টিকফার বৈঠকে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটির ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে জোর দিচ্ছে শ্রম অধিকারের বিষয়টিতে। শ্রম পরিস্থিতির অর্থবহ উন্নয়ন, বিশেষ করে সমাবেশ ও ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আইন সংশোধন নিয়ে সরকারের সঙ্গে শ্রমিকদের খোলামেলা আলোচনা চায় তারা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় দুই দেশের সপ্তম টিকফা বৈঠকেও শ্রম অধিকার ও সংস্কারের বিষয়টি তুলে ধরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা শ্রম আইনের সংস্কার চায়। একই সঙ্গে আইনের বাস্তবায়নও চায়।
এবারের বৈঠকে গত টিকফা বৈঠকের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশে যে উপাত্ত সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে। আইনটি করা হলে দুই হাজারের বেশি মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেবে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে নকল পণ্য তৈরি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই মেধাস্বত্ব-সংক্রান্ত আইন সংস্কারে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায় দেশটি।
এদিকে এবারের বৈঠকে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্যসুবিধা চাইবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে উৎপাদিত পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার বিষয়টি তোলা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।