পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছোট থেকেই শিশুদের সচেতন করার তাগিদে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষা সুপারিশমালাবিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহায়তায় ও ইউএসএইডের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস কর্মসূচি সেমিনারের আয়োজন করে।
প্লাস্টিক ব্যবহারে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার এককভাবে কিছু করতে পারবে না, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচনের আগে যাঁরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এমন ৪৬ জন এমপিকে নিয়ে সংসদে একটি ককাস করার আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে ইউএসএইডের অফিস অব ইকোনমিক গ্রোথের ডিরেক্টর মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলো নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসঙ্গে কাজ করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।’
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব প্রোগ্রামস গোয়েনডোলিন অ্যাপেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের সাবেক অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক প্রদীপ কুমার রায়, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরিফ জামিল এবং সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নুরুজ্জামান প্রমুখ।