আদিলুর–নাসিরের কারাদণ্ডে এক সংগঠন ও ৩৯ প্রবাসীর উদ্বেগ

আদালতের রায়ের পর মানবাধিবার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর
ছবি: প্রথম আলো

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’–এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের (এলান) কারাদণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ৩৯ বাংলাদেশি শিক্ষক–গবেষক ও পেশাজীবী এবং ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি নামের একটি সংগঠন। আজ শুক্রবার পৃথক দুটি বিবৃতিতে তাঁরা এই উদ্বেগ জানান।

বিদেশে অবস্থানকারী ৩৯ বিবৃতিদাতার মধ্যে রয়েছেন কাতারের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক হাসান মাহমুদ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মেসন ইউনিভার্সিটির মো. নাজমুল ইসলাম, মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির প্রভাষক আবদুল আজিজ, যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক জামাল উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটির পোস্টডক্টরাল ফেলো মোহাম্মদ আল-আমিন প্রমুখ।

৩৯ প্রবাসীর বিবৃতিতে বলা হয়, এক দশক আগে অধিকারের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জেরে আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনকে সাজা দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের (আদিলুর ও নাসির উদ্দিন) দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা হয়রানির চূড়ান্ত পরিণতি।

আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিনের পাশাপাশি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের সদস্য ও বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের হয়রানির ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রবাসীরা। তাঁরা বলেন, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজের সদস্যদের আইনি হয়রানি যেভাবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে, একই সঙ্গে এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাংবিধানিক সুরক্ষারও লঙ্ঘন হয়।

এদিকে আরেক বিবৃতিতে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটির সভাপতি আকমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান বলেছেন, অধিকারের এই দুই কর্মকর্তা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণসহ সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। মানবাধিকার রক্ষায় তাঁদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং দেশের সব মানবাধিকার সংগঠনকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।