পুরো উড়ালসড়ক চালু হলে ১১টি স্থানে টোল আদায় করা হবে। এর মধ্যে ৫টি হবে উড়ালপথে, বাকি ছয়টি নিচে।
ঢাকার দ্রুতগতির উড়ালসড়ক (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার যানবাহন চলাচল শুরু হবে। এটি ব্যবহারের জন্য যানবাহনকে টোল দিতে হবে। ইতিমধ্যে সরকারের সেতু বিভাগ শ্রেণিভেদে যানবাহনের টোলহার নির্ধারণ করেছে।
পুরো উড়ালসড়ক চালু হলে ১১টি স্থানে টোল আদায় করা হবে। এর মধ্যে ৫টি হবে উড়ালপথে, বাকি ছয়টি নিচে।
আজ শনিবার উদ্বোধন করা হবে বিমাবন্দরের কাছের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত। এই অংশে ১৫টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামার ব্যবস্থা আছে, যা র্যাম্প নামে পরিচিত। এই অংশে বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেট এলাকায় একটি স্থানে যানবাহন ওঠানামা করতে পারবে। তবে শুরুতে ১৩টি স্থান দিয়ে ওঠানামা করা যাবে। বাকি ২টি স্থানে ওঠার পথ এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি।
সেতু বিভাগ চারটি শ্রেণিতে যানবাহন ভাগ করে টোলহার নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ক্যাটাগরি-১–এ রয়েছে কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম)। এই শ্রেণির যানবাহনের টোল ৮০ টাকা।
ক্যাটাগরি-২–এ রয়েছে মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত), যার টোল ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি-৩–এ থাকা ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) টোল ৪০০ টাকা। ক্যাটাগরি-৪–এ সব ধরনের বাসের (১৬ আসন বা তার বেশি) টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ টাকা।
এই উড়ালসড়কে অটোরিকশা, সাইকেল ও মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। পথচারীদের হাঁটারও কোনো ব্যবস্থা নেই। ভবিষ্যতে মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা চলতে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারির (পিপিপি) এই প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তির সময়ই টোলহার নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, চুক্তিতে প্রথম পর্যায়ে কাওলা থেকে মগবাজার অংশ আগে চালুর কথা ছিল। কিন্তু তেজগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়ায় বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রাথমিক একটা টোলহার ঠিক করা হয়েছে। পুরোটা চালু হলে পুনরায় টোলহার নির্ধারণ করতে হবে। তখন চুক্তিতে থাকা টোলহার থাকবে, নাকি এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি যোগ হবে, তা পরে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। কেননা, উড়ালসড়কটি ২০১৪ সালে চালুর কথা ছিল। সময়মতো চালু হয়নি বলে এর সঙ্গে নানা বিষয় যুক্ত হয়েছে।
চুক্তিতে শুরুর টোলহার প্রতি তিন বছর পরপর হালনাগাদ করার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টোলহার নির্ধারণের আগের বছর যে পরিমাণ মূল্যস্ফীতি হয়, এর ৬০ শতাংশ হারে টোল বাড়াতে হবে।