একজন পরিবহন শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকেই বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম–কক্সবাজার–বান্দরবান রুটের বাস। হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এরপর বেলা দুইটার দিকে বাসচলাচল আবারও শুরু হয়। আজ সকাল ১০টায় শাহ আমানত সেতু এলাকায়
একজন পরিবহন শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে আজ সকাল থেকেই বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম–কক্সবাজার–বান্দরবান রুটের বাস। হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এরপর বেলা দুইটার দিকে বাসচলাচল আবারও শুরু হয়। আজ সকাল ১০টায় শাহ আমানত সেতু এলাকায়

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-বান্দরবান সড়কে আট ঘণ্টা পর বাস চলাচল শুরু

চালককে মারধরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান ও কক্সবাজার সড়কে বাস চলাচল প্রায় আট ঘণ্টা বন্ধ ছিল। আজ রোববার সকাল ছয়টায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন শত শত যাত্রী। পরে বেলা দুইটার দিকে চলাচল শুরু হয়।

বাস চলাচল শুরু হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আলী আজগর নামের এক চালককে মারধর করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে পরিবহনশ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিলেন। পরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চলাচল শুরু হয়েছে। ওই চালক মামলা করেছেন।

এর আগে বেলা ১১টায় শাহ আমানত সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান ও কক্সবাজার সড়কে চলাচল করা কয়েক শ বাস সড়কের পাশে। চালক, চালকের সহকারীরা সড়কে বিক্ষোভ করছেন। কোনো বাস চলাচল করেনি।

সেতু এলাকায় কথা হয় বাসচালক মো. আলী আজগরের সঙ্গে। তাঁর দাবি, আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছার নির্দেশে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে তিনি আমিরাবাদে সড়ক দিয়ে হেঁটে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে একটি বাসে ওঠেন। ওখানে ছয়জন ছিলেন। তাঁরা বাসের দরজা লাগিয়ে দেন। তাঁকে জোর করে দোহাজারী নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও ছয়জন মিলে তাঁকে মারধর করেন। মূলত পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আলী আজগরের অভিযোগ, মোহাম্মদ মুছাসহ পুরো কমিটি পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ মুছাকে কয়েকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ধরেননি।