বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আজ শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার সকাল ৬টা থেকে টানেল দিয়ে চলাচল করবে গাড়ি। তবে কোনো ধরনের তিন চাকার যান বা মোটরসাইকেল এই সুযোগ পাবে না।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখন দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ পর্যটন শহর কক্সবাজারে যেতে হলে চট্টগ্রাম নগরে প্রবেশ করতে হবে না যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে। একই ভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ আগের চেয়ে কম সময়ে ও সহজভাবে টানেল দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারবেন। গাড়িভেদে দুই শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা টোল দিতে হবে।
চলতি বছরের ১৩ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ভেতর দিয়ে যেতে হলে কোন গাড়িকে কত টোল দিতে হবে, তা চূড়ান্ত হয়।
কোন গাড়িতে কত টোল: টানেলের ভেতর দিয়ে ১২ ধরনের যানের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. আবুল হাসান স্বাক্ষরিত গেজেট অনুযায়ী, টানেলের ভেতর দিয়ে চলতে হলে কার ও জিপকে দিতে হবে ২০০ টাকা। একই হারে টোল দিতে হবে পিকআপকে। আর মাইক্রোবাসকে পরিশোধ করতে হবে ২৫০ টাকা। বাসের ক্ষেত্রে ৩১ আসন বা এ রকম আসনের গাড়িকে দিতে হবে ৩০০ টাকা, ৩২ আসন বা এর বেশি আসনের বাসগুলোকে পরিশোধ করতে হবে ৪০০ টাকা। বাসের (৩ এক্সেল) জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
এ ছাড়া ৫ টনের ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাকের জন্য ৫০০ এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের জন্য ৬০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। টানেলের ভেতর দিয়ে যেতে হলে ৩ এক্সেলের ট্রাক বা ট্রেইলরকে দিতে হবে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রাক বা ট্রেইলরের জন্য এক হাজার টাকা। ৪ এক্সেলের বেশি হলে প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা করে দিতে হবে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর চালু থাকা শাহ আমানত সেতুতে কারের জন্য ৭৫ টাকা, জিপের জন্য ১০০ টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ১০০ টাকা টোল দিতে হয়। আর ৩১ বা এর চেয়ে কম আসনের বাসের জন্য ৫০ টাকা এবং ৩২ বা তার বেশি আসনের জন্য ১৫৫ টাকা।
শাহ আমানত সেতুতে ৫ টনের ট্রাক, ৫ থেকে ৮ টনের ট্রাক এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকে টোল নেওয়া হয় যথাক্রমে ১৩০, ২০০ ও ৩০০ টাকা। ট্রেইলরের (৪ এক্সেল) টোল ৭৫০ টাকা।
সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে গাড়ি চলাচলের পরিমাণ ২৪ হাজারের কাছাকাছি হওয়ার কথা।