বিশ্বকাপ ফুটবলের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার জনগণের কাছে বাংলাদেশ নামটা খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছে। তারা এখন বাংলাদেশকে আপন ভাবছে। বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে বিশ্বকাপজয়ী লাতিন আমেরিকার দেশটি ২০২৩ সালে ঢাকায় দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ঢাকাতে দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আর্জেন্টিনার সমবর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের চিঠিটি এদিনই পৌঁছেছে।
চিঠিতে আলবার্তো বলেছেন, ২০২৩ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের জন্য আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ও দেশটির জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠি পাঠান। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তার জবাবে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা জয়ের পর দুই দেশের সরকারপ্রধানের শুভেচ্ছাবার্তা বিনিময়কে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। একে দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণোচ্ছল উদ্যাপন দেশটির জনগণ ও প্রেসিডেন্ট অভিভূত করেছে। এ প্রসঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো বলেন, খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন-সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি অর্থবহ ও শক্তিশালী মাধ্যম।
ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু হলে দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশ আর্জেন্টিনা। সম্পর্কের নতুন প্রেক্ষাপটে দেশটি থেকে বাংলাদেশের সয়াবিন তেল আমদানি সহজতর হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য জোট মারকসুরের বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ বেগবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রাসিলিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াস অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দূতাবাস।