নোয়াখালীর মাইজদীতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলার সময় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ বেলা সোয়া এগারোটায় জেলা শহর মাইজদীর বিশ্বনাথ এলাকায়
নোয়াখালীর মাইজদীতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলার সময় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ বেলা সোয়া এগারোটায় জেলা শহর মাইজদীর বিশ্বনাথ এলাকায়

কোটা সংস্কার আন্দোলন

কমপ্লিট শাটডাউনে অচল নোয়াখালী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অচল হয়ে পড়েছে জেলা শহর মাইজদী। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের বিশ্বনাথ এলাকায় প্রধান সড়কজুড়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ-সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচির পালন করেন। এ সময় ওই এলাকার দোকানপাট বন্ধ ছিল।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে বিশ্বনাথ এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনেকের হাত ও মাথায় জাতীয় পতাকা কিংবা লাল কাপড় বাঁধা ছিল। কিছু দূরে অবস্থান নেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

শাটডাউনের কারণে সকাল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে নোয়াখালীতে। পণ্যবাহী গাড়িও চলাচল করছে সীমিত। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার্থীরা চার লেন সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় তাঁরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘শিক্ষাঙ্গনে রক্ত কেন প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে দেন। সড়কের আশপাশে উৎসুক জনতাকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দেখার জন্য ভিড় করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করলে পুলিশ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। এই এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। শিক্ষার্থীরা কথা মেনে নিয়েছেন। তাঁরা কথা দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে কিছু সময় সড়কে অবস্থান করে তাঁরা ফিরে যাবেন।’