আদালত
আদালত

চট্টগ্রামে নারী খুনের মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড আরেকজনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে এক নারীকে খুনের মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. নেজাম উদ্দিন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আবদুল হালিম।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, নগরের বায়েজীদ বোস্তামী এলাকায় রেবেকা সুলতানা নামের এক নারীকে খুনের মামলায় আসামি মো.নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে আরেক আসামি মো.আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ওমর ফুয়াদ আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আবু সিদ্দিককে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় মো. নেজাম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পলাতক আসামি হালিমের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১১ মে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর মির্দ্দাপাড়া জামাল সাহেবের বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটের কক্ষ থেকে রেবেকা সুলতানাকে খুন করে ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় আশপাশের বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দিলে দুই দিন পর এসে লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে বলা হয়, আসামি হালিমের নির্দেশে নেজাম রেবেকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পরে ফ্ল্যাটে তালা মেরে চলে যান। গ্রেপ্তারের পর আসামি নেজাম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেন হালিমের কাছে রেবেকা তাঁর টাকা জমা রাখতেন। এই টাকা চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নেজামকে দিয়ে খুন করান হালিম। রেবেকাসহ আরও কয়েকজন নারী হালিশহরের ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।