সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান ও নাসিমুল আলম চৌধুরী এবং যশোরের সাবেক পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম চাকলাদারের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, কুমিল্লা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নিজ নামে বিজে জিও টেক্সটাইল লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়া ঢাকার বনানী ডিওএইচএস ও নিকুঞ্জে দুটি ফ্ল্যাট, কুমিল্লার বরুড়া বাজারে প্রায় ১৭টি দোকান, বাড়িসহ নামে–বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে।
অপর দিকে চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪৭ লাখ ৫ হাজার ৮০৫ টাকা। ১০ বছরে তাঁর আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮২৪ টাকায়। তাঁর অস্থাবর সম্পদ ২০১৪ সালের তুলনায় ১৯৯ দশমিক ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর স্ত্রী মাহমুদা মাহফুজার সম্পদ বেড়েছে ১৯০ দশমিক ১১ শতাংশ।
এ ছাড়া জহুরুল ইসলাম চাকলাদারের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালে যশোর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে শহরে ৭২টি রাস্তাঘাট নির্মাণ ও বাতি স্থাপনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন।