‘দশ বছর পর রানা প্লাজা’

শত শত মানুষের বেদনার গল্প ফুটে উঠল প্রদর্শনীতে

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হতাহত শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীতে
ছবি: প্রথম আলো

রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর উপলক্ষে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী। এখানে সেই দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের হারানোর বেদনার গল্প তুলে ধরা হয়েছে আলোকচিত্র, ভিডিও, সক্রিয় উপস্থাপন ও পোস্টারের মধ্য দিয়ে।

‘দশ বছর পর রানা প্লাজা’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীর মূল আয়োজক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্রকার ইসমাইল ফেরদৌস। তাঁর এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্থপতি ফারহানা নিজাম চৌধুরী, শিল্পী ও চিত্রকর মোর্শেদ মিশু এবং কোলাজ শিল্পী আতা মজলিসের প্রচেষ্টা।

দুর্ঘটনায় নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধান চেয়ে সেই সময় দেয়াল জুড়ে লাগানো ছিল পোস্টার। সেই দেয়ালের ছবি আজ প্রদশর্নীতে জায়গা করে নেয়

বাংলাদেশের শিল্পকারখানার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধস। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষদের স্মরণ করতেই এ আয়োজন।

ইসমাইল ফেরদৌস বলেন, এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের সস্তা শ্রমের কথাটি দর্শককে আবার মনে করিয়ে দেওয়া। এই সস্তা শ্রম বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্য, নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন। এই প্রদর্শনী বাংলাদেশে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে চলমান সংগ্রাম সম্পর্কে দর্শককে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আশা করেন এই আলোকচিত্রী।

রানা প্লাজা ধসের পর আলোকচিত্রী ইসমাইল ফেরদৌস বাংলাদেশের ওপর ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ‘দ্য কস্ট অব ফ্যাশন’ শীর্ষক তথ্যচিত্র ও ‘রানা প্লাজার পর’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোকচিত্র প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি দুর্ঘটনায় হতাহত শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অজানা গল্প তুলে ধরেছেন।

প্রদর্শনীটি একুশ শতকের আন্তর্জাতিক নারী পোশাকশ্রমিক ইউনিয়ন হেরিটেজ ফান্ডের আংশিক অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কারস সলিডারিটির সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে। ২১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দৃক পাঠভবনের দৃক গ্যালারিতে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী।