এবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মাদ্রাসাছাত্র জোবাইদ হোসেন ইমনকে (১২) হত্যার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি করেন জোবাইদের বাবা আবদুল্লাহ আবু সাইদ ভূঁইয়া। ঢাকার সিএমএম আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমন হত্যা মামলাসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি খুনের মামলা, একটি অপহরণ মামলা।
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল–মামুন, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিউদ্দিন, ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ ও সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
মামলার আরজির তথ্য বলছে, গত ১৯ জুলাই র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু জোবাইদ হোসেনকে হত্যা করা হয়।
ছাত্র-জনতার গণ–আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন। পরে তাঁর দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার খবরে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন বলেও খবর এসেছে।
ইতিমধ্যে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলককে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাঁদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।