এক খাঁচায় বাঘ দেখে আরেক খাঁচার দিকে হইহই করে ছুটে যাচ্ছিল একদল কিশোর-কিশোরী। তারা জানায়, ঢাকার উত্তর বাড্ডা থেকে তারা ঘুরতে এসেছে।
আকাশ নামে এক কিশোর জানায়, তারা কয়েক মাস আগে ঈদে চিড়িয়াখানায় আসার পরিকল্পনা করেছিল। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা ছাড়া গ্রামে ঈদ করতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আজ সেটা তারা বাস্তবায়ন করল।
ঈদের দিনে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। আজ দুপুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকায় বহু মানুষ ঈদ করছেন। ঢাকায় অনেকেই পরিবার নিয়ে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে যান। রাজধানীতে বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম জাতীয় চিড়িয়াখানা। ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও সুযোগ পেলে ঘুরে আসেন চিড়িয়াখানায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে বড় অংশ শিশু-কিশোর। তারা মা-বাবার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে পশুপাখি দেখছে। তরুণ-তরুণী ও মধ্যবয়সী নারী-পুরুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।
এই জাতীয় চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, হাতি, ময়ূর, জিরাফ, জেব্রা, হায়েনা, বানর, উটপাখি, পেলিক্যানসহ ১৩৭ প্রজাতির ৩ হাজার ২৯৫টি প্রাণী ও পশুপাখি রয়েছে। এসব পশুপাখি দেখতে প্রতিটি খাঁচার সামনে ভিড় দেখা গেছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে স্ত্রী, তিন ছেলেমেয়ে ও এক ভাইকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন আব্বাস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে চাঁদপুরের গ্রামের বাড়ি যাইনি। বাড়িতে না যাওয়ায় বাচ্চারা ঘুরতে আসতে চাচ্ছিল, তাই ওদের নিয়ে এসেছি।’
আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর মেয়ে আফরিন সিদ্দিক কানিবকসহ বিভিন্ন পাখি দেখায় ব্যস্ত। আফরিন জানায়, ‘পাখি দেখতে পেরে সে খুশি।’
চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, আজ ঈদের দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীরা এসেছেন। তাঁর ধারণা, আজ দর্শনার্থী এক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।