পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার কোনোভাবেই আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোথাও করাটা সমীচীন নয়। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, এখানে সরকার কোনো মামলার পক্ষ নয়। মামলায় তাঁর শাস্তি হয়েছে। সরকার তো আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কংগ্রেসম্যানরা যদি সে রকম চিঠি দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা বলছেন আদালতে হস্তক্ষেপ করার জন্য। সরকার কি আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে? এটি করা কি সমীচীন? আমাদের দেশে এটা করা হবে না। কোথাও করাটা সমীচীন নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে হাছান মাহমুদ জানান, ন্যাম সম্মেলনে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য বলেছেন। তাঁদের আগ্রহ আছে বলেও মনে হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে দুই পক্ষই আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, উগান্ডা একটা খুব সুন্দর দেশ। সে দেশের মানুষ অত্যন্ত চমৎকার। সেখানে তাঁর নির্বাচনী এলাকার লোকেদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার সমস্যা নেই। দেশটির ল্যান্ডস্কেপও খুব সুন্দর। কৃষি খাতে সেখানে সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ সেই সুযোগও নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উগান্ডায় ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছি। আরও ১৭ জনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। তাঁরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এসব দেখে রিজভী (রুহুল কবির রিজভী) সাহেবের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ১৯-২০ জানুয়ারি উগান্ডায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ২১-২২ জানুয়ারি ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দেশে ফিরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করলেন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম।